গাজীপুরে বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলনের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি
- আপডেট সময় : ০১:২২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৮৩৩ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহরের রাজবাড়ী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে অবস্থান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে বেলা আড়াইটার দিকে যোগ দেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ভাষ্য, গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাটের খবর পেয়ে ছাত্ররা বন্ধ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ীর মাঠ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে দুপুরের পর থেকে সড়কে অবস্থান করে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ আছে।
এদিকে ছাত্রনেতাদের ওপর হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে না পাঠানো পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো গাজীপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের যোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ইন্টেলিজেন্স যদি আজকে রাতের মধ্যে গতকালকের হামলায় জড়িত খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে না পারে তাহলে আমাদেরকে তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও আমাদের কোনো সহযোদ্ধার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো বাংলাদেশ আবার নতুন করে জেগে উঠবে। আমরা প্রয়োজনে যেমন ঢাকায় নামতে পারি, যেমন গাজীপুরে আসতে পারি, আমরা প্রয়োজনে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় যেতে পারি। আমরা অভ্যুত্থানে দেখিয়েছি, এ দেশের ছাত্র-জনতা সঠিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ধৈর্য ধরেছে। কিন্তু একটা ধৈর্যের বাঁধ আছে। এই দেশে প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা কাজ করছে তারা যদি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেলে, তাহলে দেশে নতুন আরেকটি বিপ্লব দেখতে হব।’