ছাত্র জমিয়তের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৮২৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাআ’দ বিন জাকির-এর যৌথ সঞ্চলানায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন,
আমি ছাত্র জমিয়ত থেকে উঠে আসা একজন দায়িত্বশীল। ছাত্র জমিয়ত আমার হৃদয়ের সংগঠন।এই সংগঠনকে আমি মনের আবেগ দিয়ে ভালোবাসি। তাই ছাত্র জমিয়তের দায়িত্বশীলদেরকে আমি বলবো, প্রতিটি দায়িত্বশীলকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি যুগ সচেতন হতে হবে। প্রতিটি কাজ সম্পাদন করতে হবে আন্তরিকতার সঙ্গে। প্রতিটি পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভেবে চিন্তে। কারো অবাস্তব কথায় আমরা আমাদের সুস্থ চিন্তা থেকে বিচ্যুত হব না ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া নতুন স্বাধীনতা যেন কোন অবস্থাতেই হুমকির মুখে না পড়ে এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোন অপশক্তি বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে দিকে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রিদওয়ান মাযহারী বলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ একটি নৈতিক ও আদর্শিক সংগঠন। আগামীর যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীর শিক্ষা কেন্দ্র ও সুনিপুণ কারিগর। প্রতিষ্ঠা কালের পর থেকে আজ পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় আকাবির নেতৃবৃন্দের দিক নির্দেশনা ও সকল দায়িত্বশীলের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ছাত্র জমিয়ত আজ দেশের প্রতিটি জনপদে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে ছাত্র জমিয়ত আজ এদেশের ছাত্র সমাজের বিশ্বস্ত ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে।
বিগত ১৬টি বছর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার এদেশের মানুষকে জুলুমের অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। গত জুলাই-আগস্টে এদেশের ছাত্র ও আপামর জনতার গণ- অভ্যুত্থান ও শাহাদাতের বিনিময়ে স্বৈরশাসকের পতনের মাধ্যমে এ জাতি নতুন একটি স্বাধীনতা পেয়েছে।
কিন্তু পরাজিত শক্তির পুনরায় দেশ দখলের চক্রান্ত থেমে নেই। পরাজিত শক্তির পতন হলেও তাদের দোসররা এখনও দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ঘাপটি মেরে আছে । তাই দেশ নতুন করে স্বাধীন হলেও আমাদের প্রশান্তির নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই। বরং স্বৈরাচারীর প্রণীত ও আবিস্কৃত সকল ব্যাবস্থা ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করে দেশকে পরিপূর্ণ সংস্কার না করা পর্যন্ত আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। আজকে ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে আগামীর সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে নতুন করে শপথ নিতে হবে। আমাদের গৌরব আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব, মতিউর রহমান গাজিপুরী। প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সহ সভাপতি মুফতি শরিফুল ইসলাম কাসেমী, সাবেক সহ সভাপতি ছাত্রনেতা মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, সাবেক সভাপতি এখলাসুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সহ-সভাপতি, ব্যারিস্টার সালমান মোস্তফা খান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সহ সাধারণ সম্পাদক নাসিম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান সাব্বিত, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুইনুল ইসলাম, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হাসান নাঈম, সাহিত্য সম্পাদক হাসান মাহমুদ সহ ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীলবৃন্দ।