জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে একের পর এক গায়ে পড়ে গন্ডগোল বাঁধানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এই সংঘর্ষে ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশী নাগরিকদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে দুই বাংলাদেশী আহত হয়। এ সময় ভারতীয়রা জয় শ্রীরাম স্লোগানও দেয়। পরবর্তীতে এই সংঘর্ষের জের ধরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে আলোচিত চৌকা সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সীমান্তে ভারতীয়দের এই ঔদ্ধত্য রুখে দিতে দেশবাসী যে কোন ত্যাগ প্রস্তুতি রয়েছে।

১৯ জানুয়ারি বিকেলে জামালপুর মেলান্দহ বাজারে স্থানীয় জমিয়তের উদ্যোগে আয়োজিত এক পথসভায় জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এ সব কথা বলেছেন।

জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত পথসভায় জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামছুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সোলাইমান, মেলান্দহ উপজেলা জমিয়ত সভাপতি মাওলানা রহুল আমিন, পৌর শাখার সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক- সাঈদ আহমদ নোমানী, মেলান্দহ উপজেলা জমিয়ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর মোহাম্মদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফরিদ উদ্দীন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জমিয়ত সভাপতি মাওলানা আকরামুজ্জামান, সেক্রেটারি মাওলানা এমদাদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বেলালা হুসাইন, জামালপুর জেলা যুব জমিয়ত আহবায়ক মাওলানা ইমাম হোসাইন,জেলা ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাহদী হাসান, মাদারগঞ্জ উপজেলা জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মোস্তাফা কামাল, সেক্রেটারি মাওলানা হাফিজুদ্দীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত জমিয়ত মহাসচিব জামালপুর জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে হোসাইনিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে পৃথক এক মতবিনিময় সভায় সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা লোকমান মাজহারী। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা রিদওয়ান মাজহারী।