ভারত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত- -মাওলানা মা’মু’নু’ল হক
- আপডেট সময় : ০৬:২২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৮৩৮ বার পড়া হয়েছে
ভারত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক। তিনি আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল পাঁচটায় পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন ।
তিনি দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য ভারত কর্তৃক অব্যাহত ভাবে হাসিনাকে পৃষ্টপোষকতা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে বলেন, অধিপত্যবাদের ঔরসেই ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। ভারত পতিত হাসিনাকে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি বরং তাকে আবার বাংলাদেশে পূনর্বাসন করার ভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তিনি ভারতের প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমস্ত রকম অপতৎপরতা পরিহার করার আহ্বান জানান।
মাওলানা মামুনুল হক সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্ঘবদ্ধ হামলার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি হামলা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মাওলানা মামুনুল হক ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলমতের নাগরিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন , এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ভাবে রুখে দাড়ানো।
তিনি বলেন, রক্ত খেকো হাসিনা সরকারের রক্তচোষা বুলেটের সামনে বুক চেতিয়ে দেয়া আত্নদানকারী আবু সাঈদ,মুগ্ধদের রক্তস্নাত বিপ্লব পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। আর এতেই বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য্য ও সহনশীলতার প্রমাণ পেয়েছে পৃথিবী। এতে হয়তো হতাশ হয়েছে দেশবিরোধী অপশক্তি। তবে হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি তারা। আর তাই তীব্রভাবে আশংকা করা হচ্ছে যে, চলমান আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করা হতে পারে।
সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী , মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কুরবান আলী ,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মুফতি শরাফত হোসাইনসহ প্রমূখ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।