ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৬৮ এনজিও সংস্থার আলেমবিদ্বেষী বিবৃতির তীব্র নিন্দা – হেফাজতে ইসলাম ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে, যুদ্ধ নয় আমরা শান্তি চাই – জমিয়ত মহাসচিব শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে- ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ  ইসরাঈ*লী বর্বরতার প্রতিবাদে আহুত মার্চ ফর গাজা কর্মসূচীর সাথে জমিয়তের একাত্মতা প্রকাশ গাজা- ফিলিস্তিন রক্ষায় বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে- টাওয়ারহামল্যাটস জমিয়ত গাজায় ও ভারতে গনহত্যা ও অব্যাহত মুসলিম নিধনের প্রতিবাদে সিলেটে ছাত্র জমিয়তের বিক্ষোভ ছাত্র জমিয়ত সিলেট জেলা দক্ষিণের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাক্বওয়ার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে- জমিয়ত রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে সিলেট মহানগর জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বিশ্বনাথে যুব জমিয়তের কাউন্সিল সম্পন্ন

৬৮ এনজিও সংস্থার আলেমবিদ্বেষী বিবৃতির তীব্র নিন্দা – হেফাজতে ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / ৮৩৫ বার পড়া হয়েছে

৬৮ এনজিও সংস্থার বিবৃতির জবাব দিয়ে সংবাদমাধ্যমে আজ এক বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সংস্থাগুলোর যৌথ বিবৃতিতে ঢালাওভাবে দেশের সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলকে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, সম্প্রতি ৬৮ মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ বিবৃতিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের মহাসমাবেশে দুই বক্তার অনাকাঙ্ক্ষিত আপত্তিকর শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি। হেফাজতে ইসলাম যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু তাদের বিবৃতিতে আমাদের প্রোগ্রামে মাত্র দু’জন বক্তার আপত্তিকর শব্দচয়নের দায় দেশের সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলের ওপর চাপিয়ে ঢালাওভাবে ‘মৌলবাদী’, ‘ধর্মান্ধ’ ও ‘ধর্মব্যবসায়ী’ বলে গালি দেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সব পক্ষকেই আপত্তিকর ভাষা ও শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এনজিওকর্মী নারীবাদীদের নিয়ে একতরফা গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের সমাজ-সংস্কৃতি-ধর্মবিরোধী প্রতিবেদন বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি তোলার কারণে হেফাজতে ইসলামসহ সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলকে অতীতের মতো ‘নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে ফ্রেমিং করার চেষ্টাও নিন্দনীয়। এতে ওই এনজিও সংস্থাগুলোর অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার চর্চা প্রকাশ পেয়েছে। অথচ গত বছরের জুলাইতে যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল, তখন হেফাজতে ইসলাম ১৮ জুলাইর এক কড়া বিবৃতিতে ইসলামের বিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হিসেবে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তাদের যৌথ বিবৃতি কোথায় ছিল?!

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী ধর্মপ্রাণ সংখ্যালঘুসহ আলেম-ওলামা ও বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ নারীসমাজের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো সাম্রাজ্যবাদী ও নব্য ঔপনিবেশিক এজেন্ডা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এছাড়া, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসর সুলতানা কামাল ও খুশী কবিরদের একটি তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন তাদের বিবৃতিতে আমাদের ধর্মাবমাননা-আইনের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বিরোধিতা করেছে। সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অধিকার অন্য কারো নেই। অথচ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদগারের ঘটনায় এসব মানবাধিকার সংস্থাকে কখনো নিন্দা জানিয়ে সরব হতে দেখা যায় না। আর এদের কু-মন্ত্রণা থেকে সরকারকে আমরা দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৬৮ এনজিও সংস্থার আলেমবিদ্বেষী বিবৃতির তীব্র নিন্দা – হেফাজতে ইসলাম

আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

৬৮ এনজিও সংস্থার বিবৃতির জবাব দিয়ে সংবাদমাধ্যমে আজ এক বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সংস্থাগুলোর যৌথ বিবৃতিতে ঢালাওভাবে দেশের সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলকে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, সম্প্রতি ৬৮ মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ বিবৃতিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের মহাসমাবেশে দুই বক্তার অনাকাঙ্ক্ষিত আপত্তিকর শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি। হেফাজতে ইসলাম যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু তাদের বিবৃতিতে আমাদের প্রোগ্রামে মাত্র দু’জন বক্তার আপত্তিকর শব্দচয়নের দায় দেশের সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলের ওপর চাপিয়ে ঢালাওভাবে ‘মৌলবাদী’, ‘ধর্মান্ধ’ ও ‘ধর্মব্যবসায়ী’ বলে গালি দেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সব পক্ষকেই আপত্তিকর ভাষা ও শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এনজিওকর্মী নারীবাদীদের নিয়ে একতরফা গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের সমাজ-সংস্কৃতি-ধর্মবিরোধী প্রতিবেদন বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি তোলার কারণে হেফাজতে ইসলামসহ সব আলেম-ওলামা ও ইসলামী দলকে অতীতের মতো ‘নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে ফ্রেমিং করার চেষ্টাও নিন্দনীয়। এতে ওই এনজিও সংস্থাগুলোর অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার চর্চা প্রকাশ পেয়েছে। অথচ গত বছরের জুলাইতে যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল, তখন হেফাজতে ইসলাম ১৮ জুলাইর এক কড়া বিবৃতিতে ইসলামের বিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হিসেবে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তাদের যৌথ বিবৃতি কোথায় ছিল?!

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী ধর্মপ্রাণ সংখ্যালঘুসহ আলেম-ওলামা ও বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ নারীসমাজের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো সাম্রাজ্যবাদী ও নব্য ঔপনিবেশিক এজেন্ডা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এছাড়া, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসর সুলতানা কামাল ও খুশী কবিরদের একটি তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন তাদের বিবৃতিতে আমাদের ধর্মাবমাননা-আইনের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বিরোধিতা করেছে। সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অধিকার অন্য কারো নেই। অথচ আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদগারের ঘটনায় এসব মানবাধিকার সংস্থাকে কখনো নিন্দা জানিয়ে সরব হতে দেখা যায় না। আর এদের কু-মন্ত্রণা থেকে সরকারকে আমরা দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।